
প্রানের ঢাকার আশেপাশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলো বাজেট সাশ্রয়ী, কম দুরত্বের, কম সময়সাপেহ্ম ও ডেট্যুর দেওয়ার জন্য এককথায় অসাধারন। এমনই ঢাকার পাশের একটি জায়গা “নবাবগঞ্জ”।
⏩দর্শনীয় স্থানসমূহ⏪
১. জর্জ বাড়ি
২. উকিল বাড়ি
৩. কোকিল প্যেয়ারীর বাড়ি
৪. মঠ স্থাপত্য
৫. আঁধারকোঠা
৬. আদনান প্যালেস
৭. ইসামতি নদী
৮. বৌদ্ধ মন্দির
⏩যাতায়াত পরিকল্পনা⏪
আপনাকে প্রথমে আসতে হবে গুলিস্থান গোলাপ শাহের মাজারের একটু সামনে। এখানে দেখবেন নবাবগঞ্জ ও মৈনটঘাটের বাস রয়েছে যেমনঃ দ্রুত পরিবহন, এন মল্লিক, বিআরটিটি, যমুনা পরিবহন ইত্যাদি। যেকোন একটায় চেপে চলে যান নবাবগঞ্জ। বাসের কন্টেকটারকে বলবেন কোকিল প্যেয়ারী স্কুলের সামনে নামবেন। নেমে পড়লে দেখবেন জর্জ বাড়ি, উকিল বাড়ি, কোকিল প্যেয়ারী বাড়ি, মঠ সবগুলো রাস্তার অপোজিট সাইডে পাশাপাশি অবস্থিত। দেখা শেষ করে কাউকে জিজ্ঞাসা করে হাটা ধরবেন প্যালেস পার্কের রোড বরাবর। প্যালেস পার্কের রোডে ঢুকে ৩মিনিট হাটলে সামনে একটা মোড় পড়বে কাউকে জিজ্ঞেস করলে আধারকোঠা দেখিয়ে দিবে। হাটতে থাকলে নবাবগঞ্জের প্রকৃতি আপনাকে মুগ্ধ করবে। এটা দেখা শেষ করে আবার হাটতে হাটতে আদনান প্যালেস। টিকেট কেটে দেখা শেষ করে পাশেই ইসামতি নদীর তীরে বাকি সময়টা কাটিয়ে অটো করে চলে আসুন নবাবগঞ্জ বাজারে। পরে এখান থেকে আবার গুলিস্থান, ঢাকা।
⏩খরচপএ⏪
১. ঢাকা – নবাবগঞ্জঃ ৬০-৭০৳ (যাওয়া+আসা=৬০+৬০=১২০৳)
২. আদনান প্যালেস – নবাবগঞ্জ বাজারঃ ১০৳ পিস ও রিজার্ভ ৫০-৬০৳ (অটো)
এখানে খরচ বলতে কিছু নাই দুপুরের খাবার দিয়ে অনায়াসে ২৫০-৩০০টাকায় ঘুরে আসা যাবে।
?নোট টু ফলো?
⏩ নবাবগঞ্জ যাওয়ার জন্য এন মল্লিক ও দ্রুত পরিবহনের বাস ভালো। এগুলো রাস্তায় লোক তেমন উঠায়না ডায়রেক্ট সার্ভিস।
⏩ এখানকার লোকাল মানুষ আমার কাছে সহজ সরল মনে হয়েছে তাই জায়গা চিনতে কোন সমস্যা হলে তাদের জিজ্ঞেস করলেই হবে।
⏩ সেইফটির ব্যাপার জানতে চাইলে বলব সাথে আরও কাউকে নিয়ে আসলে ভাল হবে। ২/৩জন মিলে আসলে সমস্যা নেই।
⏩ আপনারা চাইলে ঐ দিনেই মৈনট ঘাট ভ্রমন করতে পারবেন। তবে যেতে চাইলে কোকিল প্যেয়ারী স্কুলের সামনে থেকে কিছু বাস যায়। উঠে ২৫ টাকা ভাড়া দিয়ে মৈনট ঘাট চলে যাবেন।
⏩ দুপুরের খাবারের জন্য নবাবগঞ্জ বাজারে আসতে হবে। এখানে ২/১টা হোটেল রয়েছে। আর যদি মৈনট যাওয়ার প্ল্যান থাকে তবে দুপুরের খাবারটা ভাজা ইলিশ দিয়ে মৈনটে পেয়ে যাবেন।
⏩ জর্জ বাড়িতে ঢুকতে পারমিশনের প্রয়োজন হয় মাঝে মাঝে। তাই কর্তব্যরত গার্ডকে নিজের পরিচয় দিয়ে প্রবেশ করবেন।
” নবাবগঞ্জ ঢাকার পাশেই একটি সুন্দর এলাকা এবং এখানকার লোকাল মানুষদের সাথে ভদ্রতা বজায়ে রাখুন এবং লোকালদের সাথে কোম রকম ঝামেলায় জড়াবেননা৷