
ঢাকা – বরিশাল” নৌরুটে যুক্ত হলো চারতলায় মাস্টারব্রীজ সম্বলিত জাহাজ এম. ভি. কুয়াকাটা – ২। সহনীয় আলোতে চোখ ধাঁধানো এলইডি লাইট, নান্দনিক ডিজাইন, অত্যন্ত রুচিশীল কাঠের কারুকাজ। প্রতিটি ধাপেই পাওয়া যাবে নতুনত্ব, আধুনিকতা ও বিলাসিতা। ৩১’শে জুলাই ঢাকা থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবার মাধ্যমে নিয়মিত সার্ভিসে যুক্ত হয়।
যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ডেক যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, ফ্যান ও চার্জার পয়েন্ট দেয়া হয়েছে।
প্রথমবারের মত ডেক যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত চমৎকার ডিজাইনের রেস্টুরেন্ট তৈরি করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ডেক যাত্রীদের জন্য বিশুদ্ধ পানি পানের ব্যবস্থা আনার উদাহরণ নৌসেক্টরে প্রথম স্থাপন করল লঞ্চটি প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় পানি বিশুদ্ধকরন ফিল্টার রাখা হয়েছে যেখান থেকে যাত্রীরা সহজেই বিশুদ্ধ পানি নিতে পারবেন প্রয়োজন মত। প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় পর্যাপ্ত টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তৃতীয় তলায় মুসল্লিদের নামাজের জন্য আলাদা স্থান ও ওযু করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। কেবিন যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে সাজানো হয়েছে আসন বিন্যাস, যা বিবেচনায় কুয়াকাটা – ২’কে একটি বহুমুখী নৌযান হিসেবে অভিহিত করা যেতে পারে। তৃতীয় তলায় বেশ বড় আকৃতির আকর্ষণীয় ডিজাইনের রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। যেখানে যাত্রীরা নদীপথ উপভোগের সাথে রাতের খাবার সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার খেতে পারবেন বেশ আরামদায়ক আসনে বসেই। থ্রীস্টার মানের আদলে তৈরি করা ভিআইপি জোন ও ভিআইপি কেবিনগুলো যে কোন যাত্রীদের নজর কারতে যথেষ্ট। যা কেবিনের ওয়াশরুম থেকে শুরু করে সকল উপকরণ ও সার্ভিসে বিদ্যমান থাকবে।
নৌযানটির বিভিন্ন শ্রেণির বাকি কেবিনগুলোও সাঁজাতে ভুল করেননি লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। বর্তমান সময়ের চাহিদা মাথায় রেখে বেশ গোছান ও চমৎকার কেবিনের অন্দরসজ্জা ডিজাইন ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
খাবার পরিবেশনা থেকে শুরু করে এসি সুবিধায় আরামদায়ক আসনে খাবার গ্রহনের ব্যবস্থা থাকছে দুটি রেস্টুরেন্টেই। পুরো লঞ্চে ডেক ও কেবিন যাত্রীদের জন্য সর্বমোট ৩৭’টি ওয়াশরুম থাকছে যা যাত্রীদের জন্য পর্যাপ্ত। কেবিন যাত্রীদের জন্য প্রতিটি কেবিনেই দেয়া হবে বিশুদ্ধ পানি, টুথব্রাশ/টুথপেস্ট, ডিসপোজেবল স্যান্ডেল, সোপ ইত্যাদি সামগ্রী। প্রথমবারের মত কোন নৌযানে স্যাটেলাইট সুবিধার মাধ্যমে প্রতিটি কেবিনে যাত্রীরা পাবেন ১৬৫’টি টিভি চ্যানেল দেখবার সুযোগ।
পুরো লঞ্চের বেশকিছু স্থানে একাধিক ওয়াইফাই রাউটার স্থাপন করা আছে যা দ্বারা ডেক/কেবিনের পুরো অংশে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা পাওয়া যাবে। যাত্রী নিরাপত্তায় পুরো নৌযানটিতে প্রায় ৩০’টিরও অধিক নাইট ভিশন সিসি ক্যামেরা যুক্ত আছে যা সার্বক্ষণিক সচল রাখা হয়েছে। মাস্টারব্রীজ সুসজ্জতি করা হয়েছে সকল প্রয়োজনীয় নেভিগেশন ইকুইপমেন্ট দ্বারা। যেখানে জিপিএস (was 32), ইকো- সাউন্ডার, ভিআইচএফ, রাডার ছাড়াও প্রথমবারের মত দেশীয় কোন যাত্রীবাহী নৌযানে যুক্ত করা হয়েছে স্যাটেলাইট ম্যাপ ট্রাকার, যা ম্যাপে পুরো ট্র্যাকের চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সকল ডাটা প্রদানে সক্ষম।
মাস্টারব্রীজে আরও যুক্ত করা আছে মনিটর যাতে চারটি নাইট-ভিশন ক্যামেরার ভিউ থাকবে, যা দ্বারা নৌযানটির সামনে পেছনে সহ দুপাশেই দেখবার ব্যবস্থা আছে। এছাড়াও সুকান সিস্টেমে মেকানিক্যাল ও ইলেক্ট্রো-হাইড্রলিক উভয় ধরণের ব্যবস্থা সহ ইঞ্জিনরুমে জরুরী প্রয়োজনে মাইকে সংকেত প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
লঞ্চটি ঢাকা ও বরিশাল উভয় দিক থেকেই রাত ০৯.৩০ মিনিটে ছাড়বে।
কুয়াকাটা- ২’র কেবিন ভাড়ার তালিকা …
সিঙ্গেল কেবিন নন/এসি – ১০০০/১১০০ টাকা
ডিলাক্স কেবিন এসি – ১৪০০/১৫০০ টাকা
ডবল কেবিন নন/এসি – ২০০০/২২০০ টাকা
ফ্যামিলি কেবিন (এসি) – ২৫০০ টাকা
সেমি-ভিআইপি কেবিন (এসি) – ৩০০০ টাকা
ভিআইপি কেবিন (সিঙ্গেল বেড) – ৪০০০ টাকা
ভিআইপি কেবিন (কাপল বেড) – ৫০০০/৬০০০ টাকা
ভিআইপি কেবিন (টুইন বেড) – ৭০০০ টাকা
এম.ভি. কুয়াকাটা- ২’এ বিস্তারিত তথ্য জানতে যোগাযোগ করুন এই নম্বরে ০১৭৮৬০৬১৫৮৫ (লঞ্চ)